লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও ফাঁকা নারায়ণগঞ্জ

সারা দেশে সাত দিনব্যাপী লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও ছিল নারায়ণগঞ্জ শহর একেবারে ফাঁকা। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরীতে প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে। পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।



মাস্ক ব্যবহার ছাড়া বা বিনা প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হলেও চেকপোস্টগুলোতে কড়া নজরদারি ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে মানুষকে চেকপোস্ট অতিক্রম করতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


সরেজমিন দেখা যায়, শহরের চাষাঢ়া প্রবেশপথে চেকপোস্টে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দল, বিজিবি, পুলিশ, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের সহায়তা করছে স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের লোকজন। নগরীতে পাঁচটি চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। যে কারণে সাধারণ মানুষের চলাচল একবারেই সীমিত এবং নগরী অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। শহরের দোকানপাট, মার্কেট ও বিপণিকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার পাশাপাশি বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ আছে। মাস্ক না পরায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২০টি মামলা করেছেন।


শহরের চাষাঢ়ায় ট্রাফিক কামরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে গাড়ি এমনিতেই কম। বিধিনিষেধ ভেঙে কোনো যানবাহন বের হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং ঘুরিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। চেকপোস্ট দিয়ে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা প্রথম আলোকে জানান, বিনা প্রয়োজনে কেউ বের হলে তাঁদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে চেকপোস্টগুলোতে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় এবং বিধিনিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩০টি মামলা হয়েছে।