ঘুরতে বের হয়ে আটক, দিলেন জরিমানা

মৌলভীবাজারে সকাল থেকেই বৃষ্টির হানা। লকডাউন আর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই অকারণে ঘুরতে বেরিয়েছেন অনেকে। পথ চলতে গিয়ে এসব মানুষ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জেরার মুখে পড়েছেন। বেশির ভাগের মুখে মাস্কও নেই। এতে অনেককে গুনতে হয়েছে জরিমানা। কারও কারও পকেটে আবার জরিমানার টাকাও নেই। তাই সাময়িকভাবে আটক হতে হয়েছে তাঁদের।


আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন উপেক্ষা করে অকারণে বাইরে ঘোরাফেরা, দোকানপাট খোলা ও যানবাহন চালানোর কারণে তাঁদের আটক করা হয়। এর মধ্যে অনেককে জরিমানাও করা হয়।

সকালে শহরের পশ্চিমবাজার এলাকায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার ও ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদের নেতৃত্বে দুটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সাত ব্যক্তিকে সাময়িক আটক করা হয়। পরে স্বাস্থ্যবিধি পালনের অঙ্গীকার করিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া একই এলাকা থেকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ২৮ জনকে জরিমানা করে প্রশাসন। তাঁদের কাছ থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।


অর্ণব মালাকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক নেই। কোনো কারণ ছাড়াই অনেকে ঘুরতে বেরিয়েছেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ জরিমানার টাকা দিতে পেরেছেন। তবে যাঁরা টাকা দিতে পারেননি, তাঁদের সাময়িক আটক করা হয়েছে। যেন তাঁদের মধ্যে আইন না মানার অনুশোচনা তৈরি হয়।’ লকডাউন নিশ্চিত করতে পুরো জেলায় ২৩টি দল মাঠে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে ১৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২৬ জনই মৌলভীবাজার সদরের বাসিন্দা। এ ছাড়া জুড়ীতে ৬ জন, শ্রীমঙ্গলে ২ জন, কমলগঞ্জে ২ জন, বড়লেখায় ৩ জন, রাজনগরে ৪ জন ও কুলাউড়ায় ৯ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৭৭। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছেন ৩৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৮৫ জন।


মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ‘জেলায় করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বাড়তির দিকে। স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্ক পরিধান না করার কারণেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।’